জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার খন্দিতা গ্রামে প্রেমিক-প্রেমিকা উভয় জন বিষপানে আত্মহত্যা চেষ্টার ঘটনায় প্রেমিক মারা যাওয়ার ২২ ঘন্টা পরে প্রেমিকাও মারা যায়।
গত ৪ এপ্রিল দু’জনেই নিজ বাড়িতে বিষ পান করেন। বিষ পান করার পরে তাদেরকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার ভোর ৫টার দিকে প্রেমিক মুরাদ মারা যান। আজ ৯ এপ্রিল মঙ্গলবার ভোর ৩টায় বগুড়ার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন প্রেমিকা।
দম্পতি খন্দিতা গ্রামের দোলন শেখের ছেলে মুরাদ শেখ (১৭) এবং একই গ্রামের তোজামের মেয়ে তাজমিন আক্তার (১৫)। মুরাদ বড়তারা উচ্চ বিদ্যালয়ে তার এসএসসি পরীক্ষা শেষ করেন এবং তাজমিন বঙ্কিলা উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে পড়ে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, একই গ্রামের তাজমিন আক্তারের সঙ্গে মুরাদের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তবে, বিষয়টি জানতে পেরে তাদের পরিবার তাদের সম্পর্ক মেনে নেয়নি এবং মুরাদকে মালয়েশিয়া পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়। ঈদের পর দেশের বাইরে পাঠানোর কথা ছিল।
এরপর গত ৪ এপ্রিল দুজন সিদ্ধান্ত নিয়ে দুজনেই নিজ নিজ বাড়িতে বিষ পান করে। তাদের উদ্ধার করে জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, হাসপাতালে দুইদিন চিকিৎসাধীন পর বাড়িতে নিয়ে আসেন।
৭ এপ্রিল রাত সাড়ে ১১টার দিকে মুরাদ আরও একবার অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। প্রেমিকের মৃত্যুর খবর শুনে তাজমিনও আবার অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোর ৩টায় তিনিও শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
ক্ষেত্রলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন জানান, প্রেমের সম্পর্কের জেরে আত্মহত্যা করেছে প্রেমিকা। প্রেমিক মুরাদ আগেই মারা গেছেন। মেয়েটিও প্রায় একদিন পরে হাসপাতালে মারা যায়।
এ ঘটনার পর মুরাদের মরদেহ নিয়ে তদন্ত করা হয়েছে। গতকাল বিকেলে জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হয়। মেয়েটির মরদেহ বর্তমানে বগুড়ায় রয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থার প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হচ্ছে।